ইসলামের সাথে ইমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়

 ইসলামের সাথে ইমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়

ইসলামের মূল বিষয়গুলো প্রতি বিশ্বাস কে ঈমান বলে। প্রকৃত অর্থে আল্লাহতালা, নবী রাসুল, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, আখিরাত, তাকদিরে বিষয়গুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা ও তদনুযায়ী আমল করা কে ইমান বলে।


ইসলামের এই সাতটি বিষয়ের কোন একটি ওপর পড়ে থাকলে ঈমান সম্পন্ন হবে না। ‌


তাই বলা যায়, ইসলামের সাথে ঈমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়

আল্লাহ্‌ তায়ালা মানজাতির হিদায়তের জন্য বহু নবি-রাসুল দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।


পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ


“আর প্রত্যেক জাতির জন্য পথপ্রদর্শক রয়েছে”। (সূরা আর-রা’দ ১৩ , আয়াত ৭)


কুরআন মাজিদে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম রয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নবি-রাসুলের সংখ্যা লক্ষাধিক।


নবি ও রাসুল অর্থের দিক থেকে দুইটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ


যাদের উপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদেরকে রাসুল বলা হয়


যাদের উপর আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়নি এবং পূর্ববর্তী রাসুলের উপর যে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে সেই কিতাবের অনুসরণ করে মানুষদের হেদায়াত করেছেন তাদেরকে নবী বলা হয়।


প্রত্যেক রাসুলই নবি ছিলেন কিন্তু প্রত্যেক নবি রাসুল নন।


আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি ও রাসুল।

হাশরের ময়দানে কয় ধরনের শাফায়াত কার্যকর হবে

কিয়ামতের পরের ধাপটি হল হাশর। সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-


“সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে”। (সুরা ইবরাহিম : ৪৮)।

হাশরের কার্যাবলী হবে সূক্ষ আর শাফায়াত হলো এরই একটি অংশ। হাশরের ময়দানে আল্লহার হুমুক ব্যতীত কেউ কথা বলার সাহস পাবে না। মূলত দুটি কারণে শাফায়াত করে হবে। যথা:


১. পাপীদের ক্ষমা করা বা পাপ মার্জনা করার জন্য।

২. পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও কল্যাণ লাভের জন্য।


আর শাফায়াত দুই ধরনের। যথা:


১. শাফায়াতে কুবরা: শাফায়াতে কুবরা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ শাফায়াত। শাফায়াতে কুবরা মূলত হিসাব কার্য শুরু করার শাফায়াত। কারণ হাশরের সময়টা এতো কষ্টদায়ক ভবে যে, সূর্যের প্রচন্ড তাপে  কারও হাঁটু , কারো কোমড় কারো বা বুক পানিতে ডুবে যাবে তাদের শরীরের ঘামে। মানুষ অসহনীয় দুঃখ-কষ্টে নিপতিত থাকবে তখন হযরত আদম (আ.), হযরত নূহ (আ.), হযরত মুসা (আ.) প্রভৃতি নবিদের নিকট উপস্থিত হয়ে শাফায়াতের অনুরোধ করবে। তারা সকলেই অপারগতা প্রকাশ করবে। এসময় সবাই মহানবী (স.) এর নিকট উপস্থিত হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) সাজদাহ করবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও তার মর্যাদা বর্ণনা করবেন। তারপর তিনি তার রবের নিকট সুপারিশ করার অনুমতি চাইবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে অনুমতি দিবেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (স.) ( তাদের জন্য ) সুপারিশ করবেন।


মহানবী (স.) এর অনেক হাদিসে শাফায়াত করার কথা বলেছেন।


তিনি বলেছেন, “আমাকে শাফায়াত (করার অধিকার) দেওয়া হয়েছে”। ( সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)


২. শাফায়াতে সুগরা: কিয়ামতের দিন পাপীদের ক্ষমা ও পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শাফায়াত করা হবে। এটাই শাফায়াতে সুগরা। নবি-রাসুল, ফেরেশতা, শহিদ, আলিম, হাফেজ এ শাফায়াতের সুযোগ পাবে। কুরআন ও সিয়াম (রোজা) শাফায়াত করবে বলেও হাদিসে উল্লেখ আছে।


আমরা শাফায়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবো এবং রাসূলুল্লাহ (স.) এর দেখানো পথে চলবো ফলে পরকালে রাসূলুল্লাহ (স.) এর শাফায়াত যেন আমরা পাই সেই দোয়া বেশি বেশি করবো।

Comments

Popular posts from this blog

সবার আগে কারা জাহান্নামে যাবে!

যিনা কি? যিনা কাকে বলে?