Posts

Showing posts from January, 2021

ইস্তিগফার কিভাবে করতে হয়?

 ইস্তিগফার কি? ইস্তিগফার কিভাবে করতে হয়?? এবং ইস্তিগফারের ১৭ টি উপকারিতা।  ➖➖➖➖➖➖🕳️🕳️🕳️🕳️➖➖➖➖➖➖ ইস্তিগফার হলো, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, "আল্লাহর ক্বসম! আমি দিনের মধ্যে ৭০ বারেরও অধিক ইস্তিগফার করি (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই) এবং তাওবাহ করি।" (বুখারী ৫/২৩২৪) ইস্তিগফার কীভাবে করবো? ইস্তিগফার যে কোন শব্দেই করা যায়। এমনকি "ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন!" বলে দুয়া করলেও হবে। তবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বাক্যে ইস্তিগফার করেছেন, সে বাক্যে ক্ষমা চাওয়া নিঃসন্দেহে অতি উত্তম! নিম্নে হাদীসে বর্নিত কিছু ইস্তিগফার দেয়া হলো! মুখস্থ করে নিতে পারেন। 1- ﺃﺳﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ (আস্তাগফিরুল্লাহ)। শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ বলা। "রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাজ শেষে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন।" (মুসনাদে আহমদ- ২২৪০৮) 2- ﺃﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﺇﻟَﻪَ ﺇﻻَّ ﻫُﻮَ، ﺍﻟﺤَﻲُّ ﺍﻟﻘَﻴُّﻮﻡُ، ﻭَﺃﺗُﻮﺏُ ﺇﻟَﻴﻪِ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এই দু‘আ পাঠ করবেঃ আসত...

কুরআন তিলাওয়াত এর আদব

 কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার কোরআন অন্য কোনো বইয়ের মতো নয়। কোরআন পাঠ করতে হয় যথাযথ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আদব সহকারে। নিম্নে এর আদবগুলো উল্লেখ করা হলো— প্রথম আদব : নিয়ত শুদ্ধ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির মানুষের ওপর আগুনের শাস্তি কঠোর করা হবে বলে জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ওই কারি, যিনি ইখলাসের সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত করতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮২; সহিহ ইবন হিব্বান, হাদিস : ৪০৮) দ্বিতীয় আদব : পবিত্র হয়ে অজু অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করা। অজু ছাড়াও কোরআন পড়া যাবে, তবে তা অজু অবস্থায় পড়ার সমান হতে  পারে না। তৃতীয় আদব : কোরআন তিলাওয়াতের আগে মিসওয়াক করা। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের মুখগুলো কোরআনের পথ। তাই সেগুলোকে মিসওয়াক দ্বারা সুরভিত করো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯১) চতুর্থ আদব : তিলাওয়াতের শুরুতে আউজুবিল্লাহ পড়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সুতরাং যখন তুমি কোরআন পড়বে, তখন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাও।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৮) পঞ্চম আদব : বিসমিল্লাহ পড়া। তিলাওয়াতকারীর উচিত সুরা তাওবা ছাড়া সব সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া। রাসুলুল্লাহ...

ইসলামের সাথে ইমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়

 ইসলামের সাথে ইমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড় ইসলামের মূল বিষয়গুলো প্রতি বিশ্বাস কে ঈমান বলে। প্রকৃত অর্থে আল্লাহতালা, নবী রাসুল, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, আখিরাত, তাকদিরে বিষয়গুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা ও তদনুযায়ী আমল করা কে ইমান বলে। ইসলামের এই সাতটি বিষয়ের কোন একটি ওপর পড়ে থাকলে ঈমান সম্পন্ন হবে না। ‌ তাই বলা যায়, ইসলামের সাথে ঈমানের সম্পর্ক খুবই নিবিড় আল্লাহ্‌ তায়ালা মানজাতির হিদায়তের জন্য বহু নবি-রাসুল দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ “আর প্রত্যেক জাতির জন্য পথপ্রদর্শক রয়েছে”। (সূরা আর-রা’দ ১৩ , আয়াত ৭) কুরআন মাজিদে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম রয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নবি-রাসুলের সংখ্যা লক্ষাধিক। নবি ও রাসুল অর্থের দিক থেকে দুইটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ যাদের উপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদেরকে রাসুল বলা হয় যাদের উপর আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়নি এবং পূর্ববর্তী রাসুলের উপর যে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে সেই কিতাবের অনুসরণ করে মানুষদের হেদায়াত করেছেন তাদেরকে নবী বলা হয়। প্রত্যেক রাসুলই নবি ছিলেন কিন্তু প্রত্যেক নবি রাসু...