একজন সফল মুমিনের গুনাবলি
🌷আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু🌷
🌼🌼🌼🌷🌷🌷🌻🌻🌻🌳🌳🌳🌺🌺🌺
🌷একজন সফল মুমিনের গুণাবলি🌷
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর একত্ববাদে পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার প্রেরিত নবী, রাসূল, ফিরিশতা, কিতাব, পরকাল ও তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং এর থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়না তিনিই প্রকৃত মুমিন।
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- ‘‘প্রকৃত মুমিন তারাই যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর আর সন্দেহে পড়ে না এবং নিজেদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে, এরাই সত্যবাদী।’’ (সূরা হুজরাত-১৫)
আল্লাহ ইরশাদ করেন, "নিশ্চয়ই সৎকর্মশীল মুমিনদের জন্য দয়াময় আল্লাহ তাদের জন্য (মানুষের অন্তরেও) মায়া-মমতা সৃষ্টি করে দেন।" (সূরা মরিয়ম-৯৬)
তিঁনি বলেন, "মুমিন নামাজ কায়েম করে এবং আল্লাহর প্রদত্ত রিযিক থেকে ব্যয় করে। বস্তুত: এরা হচ্ছে সত্যিকারের মুমিন। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট উচ্চ মর্যাদা রয়েছে আরো রয়েছে অপরাধের ক্ষমা ও অতি উত্তম রিযিক" (সূরা আনফাল ২-৪)
আল্লাহ আবার বলেন, ‘‘মুমিনদের বৈশিষ্ট্য এই যে, যখন তাদের মাঝে ফয়সালার জন্য আল্লাহ ও রাসূলের (বিধানের) প্রতি ডাকা হয়, তখন তারা বলে আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর এইরূপ লোকেরা প্রকৃত সফলকাম’’। (সূরা আন নুর-৫১)
তিঁনি আরো বলেন, ‘‘অতপর আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছি আর মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’’
(সূরা আর রুমের ৪৭ )
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে- ‘‘হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের স্থীতি ও প্রতিষ্ঠাদান করবেন।’’
(সূরা মুহাম্মদ-৭)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, "তোমরা ভীত হয়োনা, চিন্তিত হয়োনা, তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা সত্যিকারের মুমিন হয়ে থাক"
(আলে ইমরান-১৩৯)
আল্লাহপাক বলেন- 'হে নবী মুমিনদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহর তরফ থেকে তাদের জন্যে অনেক অনুগ্রহ রয়েছে। আর এই অনুগ্রহরাজির মধ্যে সর্বোচ্চ অনুগ্রহ হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুুষ্টিলাভ ও জান্নাতের সর্বোত্তম হকদার হওয়া এবং এটাই মুমিনদের আসল সফলতা।'
(সূরা আহযাব, আয়াতে ৪৭)
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘‘তারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, আল্লাহর গোলামীর জীবনযাপনকারী, তাঁর প্রশংসা উচ্চারণকারী, তার জমীনে পরিশ্রমণকারী, তাঁর সম্মুখে রুকু ও সিজদায় অবনত, ন্যায়ের নির্দেশদানকারী, অন্যায়ের বাধাদানকারী এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমারক্ষাকারী, হে নবী তুমি এসব মুমিনদের সুসংবাদ দাও।" (সূরা তাওবা- ১১২)
তিঁনি আরো বলেন, ‘‘যারা (মুমিনরা) আমানত ও ওয়াদা চুক্তির রক্ষণাবেক্ষণ করে।’’
(সূরা মুমিন-৮)
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালার নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক তাকওয়ার অধিকারী, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সকল কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’’
(সূরা হুজরাত আয়াতে ১৩)
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেঃ
১. আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা;
৩. কুফ্রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।
(মুসলিম ১/১৫ হাঃ ৪৩, আহমাদ ১২০০২)
আল্লাহ আমাদেরকে প্রকৃত মুমিন হিসেবে কবুল করুন।
আমিন।

Comments
Post a Comment