পর্দানশীল বনাম আলট্রামর্ডান মেয়ে
পর্দানশীন বনাম অালট্রামডার্ন মেয়ে
অপু একটা বোরকা পরিহিতা মেয়ের চেহারা না দেখেই তার পেমে পড়েছে।কিন্তু এতে তার কাছের বন্ধু সামি মোটেও খুশি নয়।সামির
সাথে তার এই ব্যাপারে কথোপকথন:
.
-দোস্ত শেষে তুই কিনা একটা জঙ্গীর
প্রেমে পড়লি?
-মুখ সামলে কথা বল সামি।ও একটা পর্দানশীন মেয়ে।ওকে নিয়ে তুই যা তা মন্তব্য করতে পারিস না।
-সরিরে দোস্ত তুই এত রেগে যাবি বুঝতে
পারিনি।আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে মেয়েটাকে কখনো দেখিসই নি তুই
কিনা তারই প্রেমে পরলি?
-শুন সামি ভালোবাসা রুপ দেখে নয়।ভালবাসা হয় মন দিয়ে।আর যে মেয়ে এই ডিজিটাল যুগে এসেও এত পর্দা করে চলে,তার মন নিশ্চয়ই সুন্দর
-তুই যাই বলিস না কেন আমার এই মেয়েটাকে একটুও ভাল লাগেনা।পুরাই ক্ষ্যাত টাইপের।আরে এই মেয়েকে বিয়ে করা আর আশি বছরের
বুড়ি বিয়ে করা একই কথা।
-কেন?এ কথা বলছিস কেন?
-একে নিয়ে হাই সোসাইটিতে যাওয়া যাবে
নাকি কখনো?পরিচয় করানো যাবে কারো
সাথে?
-বৌ পার্টি আর হাই সোসাইটিতে প্রদর্শনীর
জিনিস না।ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের
ঘরের বাহিরে যাওয়া নিষেধ।আর যদিও বা
যাওয়া অপরিহার্য হয় তাহলে আছিয়ার মত এরকম হাত মোজা,পা মোজা,বোরকা আর
হিজাব পরে বাইরে যেতে হবে।
এইবার সামি শব্দ করে হেসে ফেলল।
-কি বললি তুই?কি নাম ওর?আছিয়া.... হা হা হা।দোস্ত এইটাতো খালি দেখতে না।এই
মেয়ের নামটাও তো পুরা ক্ষ্যাত।ওকে
ব্যাপার না।তুই বিয়ে করে নামটা চেঞ্জ করে
নিস।
-দোস্ত,তুই মনে হয় জানিস না।আছিয়া ছিল ফেরাউনের স্ত্রীর নাম।উনি এতই কামিয়াবি মহিলা ছিলেন যে
উনাকে চিড়ে লবন দেয়ার পরও উনি
আল্লাহকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলেননি।এইরকম একজন পুন্যবতী
মহিলার নামে নামকরন হয়েছে মেয়েটার।এটা
কি খুবই ভাল মনে হচ্ছেনা তোর কাছে?
-অপু!তোর সত্যি সত্যি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।কিসব উজবুক টাইপ কথা বলছিস!এত কথা
বুঝিনা আমি।আমি শুধু এটাই বুঝি যে
ডিজিটাল যুগের ছেলে হিসেবে আমরা এরকম
ক্ষ্যাত মেয়ে বিয়ে করতে পারিনা।আর তুই
করলে কর।দেখে নিস আমার বৌ কত স্মার্ট হয়?
.
অপু সামির কথায় মোটেও কান দিলনা।সে
দাম্পত্য জীবনের সুখের আশায় ঐ আছিয়া মেয়েটিরর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে তাকেই বিয়ে করল।আর সামি বিয়ে করল এক বড়লোকের আল্ট্রামডার্ন মেয়েকে।বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অপু হয়ে উঠল একজন পূর্ন পরহেজগার লোক।বলাই বাহুল্য যে তার
স্ত্রীর তদারকিতেই সে তার জীবনে
ইসলামকে খুব আপন করে নিয়েছে।সবার কাছে অপুর সুনাম পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেল।
তার ব্যবসা বানিজ্যেও প্রচুর উন্নতি হতে
লাগল।অন্যদিকে বছর না ঘুরতেই সামির বৌ পরকীয়ায় লিপ্ত হল।এতে করে তার বৌ এর তো
দুর্নাম হলই উপরন্তু সামির পুরুষত্ব নিয়েও
অনেকে কথা
তুলল।সামির তখন আফসোস করা আর দীর্ঘশ্বাস
ফেলা ছাড়া কিছু করার ছিলনা।সে বুঝল যে অপু যে ধরনের বৌ পেয়েছে এরকম বৌ পাওয়া
ভাগ্যের ব্যাপার।সে এটাও বুঝল যে বিয়ের
ক্ষেত্রে স্মাট আর সুন্দরী না খুঁজে
পরহেজগার,পর্দানশীন মেয়ে খুঁজলেই
জীবনটাকে সুন্দর ভাবে সাজানো যায়।

Comments
Post a Comment